অংক কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা।

অংক কি – অংক কাকে বলে, অংক কত প্রকার ও কি কি : হ্যালো পাঠকবৃন্দ ristudy.net ব্লগের পক্ষ থেকে সবাই কে স্বাগত জানিয়ে আজকের টিউটোরিয়ালটি শুরু করছি। আজকের টিউটোরিয়ালের টাইটেল দেখে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন আজকে আমরা এই টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে অংক কি, অংক কাকে বলে এবং অংক কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

এছাড়াও আমরা জানব সার্থক অংক কাকে বলে, সার্থক অংক কয়টি ও কি কি। তাই বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

অংক কাকে বলে – অংক কত প্রকার ও কি কি ?

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার সময় বিভিন্ন ধরণের সংখ্যা ব্যবহার করি।বিশেষ করে যখন আমরা বাজারে বিভিন্ন জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করে থাকি। উদাহরণস্বরূপ, 1 কেজি আলুর দাম 10 টাকা, এখানে আমরা 10 কে দশ বলে থাকি। ঠিক একই ভাবে, ‘300’ কে তিনশো, 100 কে একশত বলে থাকি। এখানে 10, 100, 300 কে আমরা সংখ্যা হিসাবেই জানি।

কিন্তু আপনি কি জানেন এই সংখ্যাগুলিকে যে চিহ্ন গুলো দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই চিহ্ন গুলো কে কি বলা হয়? হতে পারে অনেকে জানে আবার অনেকেই জানে না এদেরকে ডিজিট বা অংক বলা হয়। যদি আপনার না জানা থাকে অঙ্ক কি? তবে চিন্তা করবেন না, কারণ আজ আমরা এই টিউটোরিয়ালে প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব।

আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা যে বিষয় গুলো শিখব সেগুলো হল-

  1. অংক কি – অংক কাকে বলে,
  2. অংক কত প্রকার ও কি কি,
  3. দশমিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক কি কি,
  4. দশমিক পদ্ধতিতে অংক কত প্রকার ও কি কি,
  5. সার্থক অংক কাকে বলে,
  6. সহকারী অংক কাকে বলে,
  7. বাইনারি পদ্ধতিতে কোন কোন অংক ব্যবহার করা হয়,
  8. অক্টাল পদ্ধতি তে ব্যবহৃত অংক,
  9. হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি তে কি কি অংক ব্যবহার করা হয়?

Also Reads : সংখ্যা পদ্ধতি কি – সংখ্যা পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি

অংক কি – অংক কাকে বলে?

এই সংখ্যা পদ্ধতির টিউটোরিয়ালের শুরুতে বলেছিলাম যেকোন সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য কিছু চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়। যেমন – 5 ও 6 সংখ্যা দুটি কে প্রকাশ করার জন্য যথাক্রমে 5 ও 6 প্রতীক দুইটি ব্যবহার করা হয়েছে আবার 25 সংখ্যাটিকে প্রকাশ করার জন্য 2 ও 5 দুটি প্রতীক ব্যবহৃত হয়েছে। দশমিক পদ্ধতিতে কোন সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য ‘0’ থেকে ‘9’ পর্যন্ত মোট 10 প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, এই চিহ্ন বা প্রতীক গুলো কে অংক (Digit) বলা হয়। এই থেকে আমরা বলতে পারি

সংখ্যা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একক চিহ্ন বা প্রতীক গুলো কে অংক বা Digit বলা হয়।

দশমিক পদ্ধতি সংখ্যা প্রকাশের জন্য মোট ১০ টি অংক ব্যবহৃত হয়। এই দশটি চিহ্ন বা প্রতীক গুলো হল -০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯।

তবে সংখ্যা প্রকাশের সময় এই অংক গুলো এককভাবে অথবা কতগুলো অংক একত্রিত হয়েও ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে।

উদাহরণঃ 7 ও 8 সংখ্যা দুটি প্রকাশ করার জন্য কেবলমাত্র একটি করে অংক যথাক্রমে 7 ও 8 ব্যবহার করা হয়েছে। আবার 231 সংখ্যা টি প্রকাশ করার জন্য 1, 2, 3 তিনটি অংকের (digits) ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ 1, 2, 3 অংক তিনটি একসঙ্গে লিখে 231 সংখ্যাটি তৈরি হয়েছে। আবার এই 1, 2, 3 প্রতীক বা অংক গুলো এক একটি সংখ্যা ও বটে।

তাহলে বলা যায়, প্রত্যেক টি অংক এক একটি সংখ্যা কিন্তু প্রত্যেক সংখ্যা অংক নাও হতে পারে। তাই অঙ্ক হল সংখ্যা তৈরি করতে ব্যবহৃত একক প্রতীক। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোট 10টি সংখ্যা ব্যবহার করি। তারা হল 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9।

সংখ্যা হল সেই চিহ্ন যা সঠিকভাবে সংখ্যা পড়তে এবং লিখতে ব্যবহৃত হয়। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 পর্যন্ত মোট 10টি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

অংক কত প্রকার ও কি কি?

এতক্ষণে আমরা জানলাম অংক কি এবং অংক কাকে বলে। এখন আমরা অংক কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। কারণ অংক সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হলে, আমাদের অংকের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিশদ ভাবে জানতে হবে।

সত্যি কথা বলতে সংখ্যা পদ্ধতির উপরে নির্ভর করে অংক নির্ধারিত করা হয়ে থাকে এবং আলাদা আলাদা সংখ্যা পদ্ধতির জন্য আলাদা আলাদা অংক ব্যবহৃত হয়। গনিতে প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এইরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলো নিম্নে তুলে ধরা হল –

  1. দশমিক(Decimal) সংখ্যা পদ্ধতি,
  2. বাইনারী(Binary) সংখ্যা পদ্ধতি,
  3. অক্টাল(Octal)সংখ্যা পদ্ধতি,
  4. হেক্সাডেসিমেল(Hexadecimal) সংখ্যা পদ্ধতি।

দশমিক (Decimal) সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক

দশমিক পদ্ধতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্ন কাজ করার সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। দশমিক পদ্ধতিতে মোট ১০ টি অংক ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলো হল – 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9

আবার এই দশমিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  • সার্থক অংক,
  • সহকারী অংক।
সার্থক অংক কাকে বলে এবং কি কি?

যে সব অংক কোন সংখ্যার প্রথমে, শেষে অথবা মাঝে বসে নতুন একটি সংখ্যা তৈরি করে, সেই সব অংক গুলো কে সার্থক অংক বলা হয়। এছাড়াও আমরা অন্য ভাবে বললে বলতে পারি যে সব অংকের নিজস্ব মান আছে, তাদের সার্থক অংক বলা হয়।

সাধারণত ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অংক গুলো কে সার্থক অংক বলা হয়। সেহেতু 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 মোট নয়টি সার্থক অংক রয়েছে।

সহকারি অংক কাকে বলে ও কি কি?

যে অংক কোন সংখ্যার শেষে ও মাঝে বসে নতুন সংখ্যা গঠন করলে ও পূর্বে বসে নতুন কোন সংখ্যা গঠন করতে পারে না, সেই সংখ্যাকে সহকারি অংক বলা হয়। ‘0’ হল একমাত্র সহকারী অংক।

বাইনারী (Binary) সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক

কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত এক সংখ্যা পদ্ধতি হল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি।বাইনারি এর অর্থ হল বেস 2 সিস্টেম। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করতে দুটি প্রতীক ব্যবহার করা হয়, তাই একে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

বাইনারি পদ্ধতিতে 0 এবং 1 দুটি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। বাইনারি সিস্টেমে ব্যবহৃত 0,1 কে বাইনারি ডিজিট (বিট) বলা হয়। অর্থাৎ বাইনারি পদ্ধতি কেবলমাত্র দুটি অংক 0 ও 1 ব্যবহৃত হয়। এই অংক গুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা হয়।

অক্টাল (Octal) পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক

যে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৮, তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। এটি কম্পিউটারে ব্যবহৃত এক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলো হল – ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ অর্থাৎ অক্টাল পদ্ধতি মোট ৮টি অংক ব্যবহার করা হয়।

হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে কি কি অংক ব্যবহার করা হয়?

কম্পিউটারে ব্যবহৃত আর একটি জনপ্রিয় সংখ্যা পদ্ধতি হল হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতি। ডেসিমাল পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এই ১০ টি অংক এবং A থেকে F পর্যন্ত ৬ টি ইংরেজি বর্ণ গুলো কে অংক হিসাবে ধরা হয়। অর্থাৎ হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি অংক ব্যবহার করা হয়।

আশাকরি এবং অংক কাকে বলে অংক কত প্রকার ও কি কি পোস্ট টি পড়ে আপনি উপক্রিত হয়েছেন। যদি ভালো লেগে থাকে তবে অঅবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

যদি অংক কি এই টিউটোরিয়ালের সম্মন্ধে কোন প্রশ্ন অথবা কোন সাজেশন থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ

Also Reads:

Leave a Comment